বিশ্বকাপ ক্রিকেটে সবচেয়ে হাই ভোল্টেজ ম্যাচ ভাবা হয়েছিলো ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচকে। কিন্তু ম্যাচটা অস্ট্রেলিয়া বানালো সাদামাটা একটা ম্যাচ। হাই ভোল্টেজ ম্যাচে তারা অস্ট্রেলিয়াকে হারালো ৬৪ রানে।
ক্রিকেটের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী স্টেডিয়াম, লর্ডস-এ টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন ইংলিশ কাপ্তান এউইন মরগান। ইংলিশ ভালো শুরুর আশা ভেস্তে দিয়ে ১২৩ রানের জুটিতে অজি কাপ্তান অ্যারন ফিঞ্চ-ডেভিড ওয়ার্নারের। ওয়ার্নার হাফ সেঞ্চুরি করার পর ইংলিশ শিবিরে স্বস্তি দিলেও হাফ সেঞ্চুরিকে ফুল করেছেন ফিঞ্চ। এরপর খাজা, স্মিথ আর কারীর তিনটা ছোট ছোট ইনিংসে অজিরা স্কোর বোর্ডে তুলতে পারে ২৮৫ রান। তবে অজিদের ৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলো ইংলিশরা।
জবাব দিতে নেমে, দলীয় ১ রানে শূন্য করে ফেরেন ওপেনার ভিঞ্চ। তারপর থেকে নিয়মিত বিরতিতেই পড়তে থাকে উইকেট। বলার মত, বেন স্টোকস একাই লড়ে গিয়েছেন। স্টারকের বলে বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ১১৪ বলে করেছিলেন ৮৯ রান। শেষের দিকে জস বাটলার (২৫), ক্রিস ওকস(২৬) আর রশিদ খানের(২৫) রান তোলা আটকাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়ার জয়।
বিশ্বকাপের মঞ্চে বরাবরই ফেভারিটের তালিকায় থাকে অজিরা। শক্তিমত্তায় এবারেও তারা কাউকে ছেড়ে কথা বলার মত নয়। শক্তি দেখিয়েই প্রথম দল হিসেবে এই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠে গেলো টিম অস্ট্রেলিয়া।
জয়টা বাংলাদেশের জন্যও যে সুখকর হয়েছে তা বলাই যায়। সেমিফাইনালে খেলতে বাংলাদেশকে জিততে হবে সবগুলো ম্যাচই। সেখানেও আছে বেশ কিছু সমীকরণের হিসেব। পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের চেয়ে ১ পয়েন্ট এগিয়ে ইংলিশরা। তাদের সামনে আছে দুটো ম্যাচ। যেখানে ইংলিশরা মোকাবিলা করবে নিউজিল্যান্ড আর ভারতের। আর বিশ্বকাপে এই দুই দলের সাথে ইংল্যান্ডের ম্যাচ জয়ের ইতিহাসটা যে সবার জানা।
পুরো খেলাটা দেখে বাংলাদেশের ফ্যানরা বলতেই পারেন, ‘খেলল ক্যাঙ্গারু, জিতল টাইগার’।
বাঙালীয়ানা/জেএইচ