অপর
এটা আমি নই, এটা সৈয়দ তারিক,
আমি শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি;
সে হাঁটে নগরে আর নগরের অনেক আড়ালে
আমি তার বয়ে যাওয়া দেখি।
সৈয়দ তারিক এটা নয়—
শূন্যতা ধরেছে আকার;
আমি তার হয়ে ওঠা দেখি
নিভে যাওয়া দেখি আমি তার।

গুগল
গুগলের হাত ধরে ছুটে চলি আন্তর্জালে,
কাকে যেন খুঁজে ফিরি সার্চ ইঞ্জিনে!
সে আমাকে চেনে নাকি? সাইবার স্পেসে
পারব কি নিতে তাকে চিনে?
কাকে আমি খুঁজে ফিরি? সে আমাকে খোঁজে?
আছে সে কি সামাজিকতায়?
ফেইসবুক, টুইটার, ব্লগ, আরও অজস্র ডোমেইন…
গুগল, দোহাই বলো, সে আছে কোথায়?

তুমি ও আমি
তুমি দাও পাঠ আমাকে বাৎসায়ন,
মন্দ্রস্বরে স্তোত্র শোনাই আমি;
পায়েল বাজছে কেন্দ্রের অভিসারে
পরিধি রেখায় ডাকে অন্তর্যামী।
তোমার শরীরে লোকোত্তরের ঘ্রাণ,
আত্মা আমার ধুলা মাখে দুনিয়ার;
তুমি অনন্ত মিলনের আহ্বান
আমি শেষহীন বিরহের বুনিয়াদ।

অজ্ঞেয়
কে জানে কখন কে কোথায় ধরা পড়ে,
কে জানে কে ছাড়া পায়;
তোমার আকাশে আমার আঁধার
জ্যোৎস্নায় চমকায়।
কে জানে কেন-বা স্বপ্নখচিত চাঁদে
রক্তের আলপনা
ছেঁড়া কাফনের হাহাকারে কাঁদে:
বলব না, বলব না।

দূরের নৈকট্য
না কোনো দিবসে মেলে দেবে ডানা
না আছে রাতের নিভৃত নীড়;
শূন্যের মাঝে অসীম আকাশ
অশ্রুবিন্দু সিন্ধুনীর।
বিচ্ছেদে গাঢ় পুরানো প্রণয়
মিলনে ছিল কি বিরহ-সুর?
যতটুকু কাছে ছিল দু হৃদয়
ঠিক ততটুকু ছিল সুদূর।

চেয়েছিল
আলো চেয়েছিল রাতের রাগিনী
তীর চেয়েছিল স্রোতের সুর,
তুমি চেয়েছিলে আসতে নিকটে:
ছায়াময় তবু চির সুদূর।
শোক চেয়েছিল দরদি হৃদয়
শ্লোক চেয়েছিল অভিনিবেশ,
পেতে দিয়েছিলে সবটা জমিন:
হলো না তবু তা উপনিবেশ।

লেখক:
সৈয়দ তারিক, কবি, সাধক, চিন্তাবিদ