আইএস’র দেওয়া এই বিবৃতিতে ৮ হামলাকারীর নামযুক্ত হামলার স্থানের যে বিবরণ দিয়েছে তা নিচে দেয়া হলো:
আইএস এর বিবৃতিতে যে নামগুলির উল্লেখ করেছে তা যে ছদ্ম নাম তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিকে গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় ইংরেজী অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ফার্স্টপোষ্ট জানিয়েছে শ্রীলঙ্কার ইষ্টার সানডে সকালে সংঘটিত আত্মঘাতী সিরিজ বোমা হামলায় শ্রীলঙ্কার শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ীর দুই পুত্র আত্মঘাতী হয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, মোহম্মদ ইউসুফ ইব্রাহিম যিনি শ্রীলঙ্কার একজন বিশিষ্ট মসলা ব্যবসায়ীই নন তিনি বামপন্থী রাজনৈতিক দল জনতা বিমুক্তি প্যারামুনার সাথে সম্পৃক্ত একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি তার দুই ছেলে ইমসাথ আহমেদ ইব্রাহিম (৩৩) এবং ইলহাম আহমেদ ইব্রাহিম (৩১) সিনেমন গ্রান্ড এবং শাংগ্রি লা হোটেলে আত্মঘাতী বোমা হামলা পরিচালনা করে।
তদন্তকারীদের ঘনিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ফার্ষ্টপোষ্ট বলেছে যে ইব্রাহিম পরিবারের কনিষ্ঠ পুত্র ইসমাইল আহমেদ ইব্রাহিম পলাতক রয়েছে, তাকে আটক করা গেলে এই আত্মঘাতী দলটির কর্মকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে যে ইসমাইল গতবছরে বৌদ্ধ মন্দির ও চার্চ ক্রস ধ্বংস করার সাথে যুক্ত। ওয়ানাউলুয়ায় ইসমাইল ইব্রাহিম ও সহযোগীরা প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। এই জঙ্গি দলটিই মার্চ, ২০১৯, এ ইসলামপন্থী উগ্রবাদীদের স্পষ্ট সমালোচনাকারী সরকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজ্জাক তসলিমকে হত্যার সাথে জড়িত।
এ পর্যায়ে পুলিশ মোহম্মদ ইউসুফ ইব্রাহিম ও তার তৃতীয় পুত্র ইজাস আহমেদ ইব্রাহিম (৩০) কে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারী দল।
এদিকে পুলিশ কর্মকর্তা রুয়ান বিজয়াবর্ধন বুধবার জানান, হামলাকারী ছিল ৯ জন যাদের মধ্যে একজন নারী। ৯ জনের অপর একজন যুক্তরাজ্য ও অষ্ট্রেলিয়ায় উচ্চ শিক্ষা শেষে শ্রীলঙ্কায় বয়াস করছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে তিনি কারও নাম প্রকাশ করেননি।
ভারতীয় বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে বলছে, “কলম্বোয় শাংগ্রি লা হোটেলে যে দুই আত্মঘাতী বোমারু হামলা চালিয়েছিল, তারা দুই ভাই বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। বয়স কুড়ির ঘরে। তদন্তকারী অফিসারদের মতে, তারা তাদের ‘পারিবারিক সেল’ থেকেই সক্রিয় ছিল। কলম্বোতেই তাদের বাড়ি। মশলা রফতানির ব্যবসায় জড়িত ছিল তারা। দুই ভাইয়ের এক জন হোটেলে ঢোকার সময়ে ভুয়ো পরিচয় দিয়েছিল। কিন্তু অন্য জন আসল ঠিকানাটাই লিখেছিল। সেটাই তদন্তে বড় সূত্র হিসেবে উঠে এসেছে। এ দিন যখন বিশেষ টাস্ক ফোর্স ওই বাড়িতে হানা দেয়, এক ভাইয়ের স্ত্রী বোমা ফাটিয়ে দুই শিশু-সহ নিজেকে শেষ করে ফেলে। তিন জন পুলিশও মারা যান। তদন্তকারীরা পরে বলেন, একটা পরিবার নিজেরা মিলেই একটা জঙ্গি সেল চালাচ্ছিল। আত্মীয়স্বজনদের কাউকে কাউকে ব্যাপারটা জানিয়েওছিল। ‘‘বিদেশি জঙ্গিগোষ্ঠীদের দ্বারাই এরা অনুপ্রাণিত বলে মনে করা হচ্ছে। তবে প্রত্যক্ষ যোগ কতটা ছিল, তা স্পষ্ট নয়।’’ এ দিকে আইএস মুখপত্র আমাক হামলার দায় নেওয়ায় তাদের সঙ্গে এই পরিবারের কী ভাবে কতটা যোগাযোগ ছিল বা আদৌ ছিল কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজে থেকে দেখা গিয়েছে, সন্দেহভাজন আর এক বোমারুর ছবি। শার্ট-প্যান্ট চটি পরা এক যুবক ব্যাকপ্যাক নিয়ে ঢুকছে সেন্ট সেবাস্টিয়ান চার্চে। তার আগে সে একটি বাচ্চা মেয়েকে পিঠে চাপড় দিয়ে মেয়েটির সঙ্গে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে রাস্তা পেরোতে এগিয়ে যায়।”