কিংবদন্তী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ স্মরণে আগামী ১১ অগাস্ট (২৭ শ্রাবণ) মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে তার রচিত ‘কে কথা কয়’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত নাটক ‘নদ্দিউ নতিম’। এদিন শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার হলে প্রদর্শিত হবে ম্যাড থেটার প্রযোজিত নাটকটি। নাটকটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন আসাদুল ইসলাম। অভিনয়ে আসাদুল ইসলাম, সোনিয়া হাসান ও আর্য মেঘদূত, যারা একই পরিবারের সদস্য।

‘কে কথা কয়’ উপন্যাস অবলম্বনে নাটক ‘নদ্দিউ নতিম’

নাটকটির সহযোগী নির্দেশক হিসেবে রয়েছেন আনিসুল হক বরুণ, সেট ও লাইট ডিজাইন ফয়েজ জহির, পোশাক সোনিয়া হাসান, আবহসঙ্গীত আর্য মেঘদূত, আলোক নিয়ন্ত্রণে গর্গ আমিন ও আবহসঙ্গীত নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন সোহেল খান ও আরিফ। দেশে ও দেশের বাইরে ‘নদ্দিউ নতিম’ নাটকের একের পর এক সফল প্রর্শনীর মধ্য দিয়ে ম্যাড থেটার দর্শকদের মন জয় করে চলছে।

নাটকের গল্পে দেখা যাবে, মতিন একজন কবি। মনে মনে নিজেকে কল্পনা করে নেয়, সে একজন উজবেক কবি। নিজেই সে নিজেকে স্বপ্ন দেখে- ধবধবে ফর্সা গায়ের রঙ, পরনে জোব্বার মতো একটা পোশাক, লম্বাটে মুখ। মতিনের মধ্যে বাস করে অন্য এক মতিন। দিনে দিনে মতিন উদ্দিন হয়ে ওঠে নদ্দিউ নতিম। মতিনের হূদয়ের সবটুকু দখল করে থাকে সহপাঠি নিশু। ভাবের ভেলায় ভেসে বেড়ালেও ভাবাবেগে মতিন ডুবে যায় না, সে বুঝতে পারে নিশুর মতো স্কলার মেয়ের যোগ্য সে নয়। মতিনের একদিন চোখে পড়ে পত্রিকার পাতায় তিন লাইনের ছোট্ট একটা বিজ্ঞাপন-একজন সার্বক্ষণিক টিউটর প্রয়োজন, টিউটরের সৃজনশীলতা ব্যক্তিগত যোগ্যতা হিসেবে ধরা হবে, বেতন আকর্ষণীয়। বেতনের আকর্ষণীয় ক্ষমতায় মতিন তার কবি সত্ত্বাকে সাময়িক স্তিমিত রেখে কমল নামের একজন মানসিক প্রতিবন্ধী বাচ্চার টিউটর পদে অভিসিক্ত হয়।

নির্দেশক আসাদুল ইসলাম বলেন, “বর্তমান সময়ে একজন মানুষ অন্য একজনকে হত্যার জন্য নিজেকে আত্মাহুতি দিচ্ছে। এই নাটকে দেখা যায় একজন মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে বাঁচাতে একজন কবির নির্বিকার আত্মাহুতি। অর্থাৎ অন্যকে হত্যা করতে নয় বরং বাঁচাতেই আরেক মানুষের জীবন উৎসর্গ, যা এই সময়ের জন্য এক অনন্য আদর্শ হিসাবে পরিগণিত।”

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.