নিজেদের ফেভারিট দাবি করে হ্যামিল্টন মাসাকাদজা যেই চাপটা বাংলাদেশের উপরে দিতে চেয়েছিলেন, তা যে আদতে ফাঁকা বুলি তা মাঠেই প্রমাণ করল বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে যাও কিছুটা চেষ্টা ছিল। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং বা বোলিং সব ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ তাদের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়েছে ৭ উইকেটের বিশাল জয় দিয়ে।
টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেওয়া মাশরাফিকে অনেকটা চ্যালেঞ্জ করেই মাসাকাদজা জানালো তারা ব্যাটিংই করতে চেয়েছিল। কিন্তু খেলা শুরু হওয়ার পরই বুঝা গিয়েছিল কার সিদ্ধান্ত সঠিক। দিবারাত্রির ম্যাচে আবহাওয়ার কারণেই সন্ধ্যার পর বল গ্রিপ করা যে কষ্টকর হবে তা আগেই বুঝতে পেরেছিল বাংলাদেশ দল। আদতে দেখা গেল তাই সঠিক। ভালো উইকেট হওয়া সত্ত্বেও সাইফুদ্দিনের বোলিং তোপে জিম্বাবুয়ে ৫০ ওভারে ২৪৬ রানেই আটকে যায়, আর সেই রান কি অনায়াসেই না টপকে যায় বাংলাদেশ মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে।
ম্যাচশেষে মাশরাফি তাই কৃতিত্ব দিলেন বোলারদের। মাশরাফি বলেন,
“আমি মনে করি, টসটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা শিশির সম্পর্কে জানি কিন্তু এটা এতোটা ছিল না যতোটা আমরা আশা করেছিলাম। বোলাররা ভালো জায়গায় বল করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ব্রেকথ্রো এনে দিয়েছে। তাই, কৃতিত্ব অবশ্যই বোলারদের দিতে হবে যারা ব্যাটসম্যানদের জন্য সহজ টার্গেট দিয়েছিল।”
এদিকে প্রথম ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে ভালো রান না আসলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জ্বলে উঠেছেন বাংলাদেশের ওপেনাররা। ২৪ ওভারে ওপেনিং জুটিতে (ইমরুল কায়েস-লিটন কুমার দাস) এসেছে ১৪৮ রান। লিটনের আউটের মাধ্যমে এই জুটি ভাঙ্গে। ওপেনিং ভালো হওয়ায় খুশি মাশরাফি।
তিনি আরও বলেন, “আমাদের ওপেনাররা ভালো শুরু করেছিল, যেটা দেখতে অনেক ভালো লেগেছিল। উইকেটটা ভালো ছিল। এই উইকেটে ২৭০-২৮০ সহজেই করা সম্ভব।”
এদিকে আগের ম্যাচে ১৪৪ এর পর আজকেও (দ্বিতীয় ওয়ানোডেতে) সেঞ্চুরি করার সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ইমরুল কায়েস। কিন্তু ১১১ বলে ৯০ রান করে আউট হন ইমরুল। অন্যদিকে ৭৭ বলে ১২ চার আর ১ ছক্কায় লিটনের ৮৩ রানের ইনিংসেও ছিল সেঞ্চুরির সম্ভাবনা। রান পেলেও দুই ওপেনারের সেঞ্চুরি না পাওয়াতে নাখোশ মাশরাফি। দুই ওপেনারের সেঞ্চুরি না পাওয়ার প্রসঙ্গে মাশরাফি বলেন, “ইমরুল আর লিটনের অবশ্যই সেঞ্চুরি করা উচিত ছিল, এমন সুযোগ তারা সবসময় পাবে না। দিনশেষে ওপেনাররা রান পেলে দলের জন্য অনেক সহজ হয়ে যায়।”
সংক্ষিপ্ত স্কোরকার্ড :
জিম্বাবুয়ে ২৪৬/৭, ৫০ ওভার
( টেইলর ৭৫, রাজা ৪৯, সাইফুদ্দীন ৩/৪৫, মোস্তাফিজ ১/৩৫)
বাংলাদেশ ২৫০/৩, ৪৪.১ ওভার
( ইমরুল ৯০, লিটন ৮৩, মুশফিক ৪০, রাজা ৩/৪৩)
প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ : মো সাইফুদ্দীন ১০-১-৪৫-৩
বাঙালীয়ানা/এইচকে/জেএইচ
আরও পড়ুন: ৭ উইকেটের বড় জয় পেল বাংলাদেশ