২০০ একর জমিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস

Comments

কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়া ইউনিয়নে ২০০ একর আয়তনের জমিতে স্থাপন হতে যাচ্ছে নতুন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শেষ পর্যন্ত নতুন এই ক্যাম্পাস পেতে যাচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়।

আজ, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৮ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে এই ক্যাম্পাস নির্মাণে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে দুইশ একর জমি দেওয়ার কোনো নজির নেই। অত্যাধুনিক এই ক্যাম্পাস নির্মাণের মাস্টারপ্ল্যানে ভূমি অধিগ্রহণ, নিচু জমি ভরাট করা, পুকুর খনন, গাছ লাগানো, হল নির্মাণ, একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ, খেলার মাঠ, শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রসহ পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় কার্যক্রম রয়েছে।

আরও পড়ুন >> ১৫ বছরের রেকর্ড ভেঙে ফ্লোরিডায় হারিকেন মাইকেল

জবিকে একটি পরিপূর্ণ ও অত্যাধুনিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রূপান্তরের জন্য নতুন ক্যাম্পাস স্থাপন, ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমির উন্নয়নের জন্য অনুমোদিত প্রকল্পটির খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৯শ ২১ কোটি ৬৪ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। এর আগে, প্রকল্পটি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন পেয়েছিল। গত ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ সচিবালয়ের ১১৭তম সভায় অনুমোদনের পর আজ মঙ্গলবার প্রকল্পটি একনেকে উত্থাপন করা হয়।

তবে জবি শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রকল্পটি নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। কারণ, এর আগে অনেক প্রকল্পে একটি বিল্ডিং করতেই বছরের পর বছর সময় পেরিয়ে গেছে। নতুন ক্যাম্পাসের প্রকল্পটি তেমন ঝুলে না গেলেই হয়। নির্দিষ্ট সময়ের লক্ষ্য নিয়ে সেই সময়ের মধ্যে নতুন ক্যাম্পাসের কাজ প্রশাসন শেষ করবে বলেই আশা রয়েছে সবার।

ছাত্র ইউনিয়ন জবি শাখার পক্ষ থেকে আগামীকাল (বুধবার) আনন্দ মিছিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। পাশাপাশি এই প্রকল্প যেন দ্রুততম সময়ে বাস্তবায়িত হয়, সেই দাবিও উত্থাপন করা হবে আনন্দ মিছিলে।

জবি শাখা ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মজাহিদ অনিক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, “২০১৬ সালের দীর্ঘ ৩৩ দিনের রক্ত ও ঘামের ফসল অবশেষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘরে উঠতে যাচ্ছে। এ বিজয় জবির ২০ হাজার শিক্ষার্থীর।”

উল্লেখ্য, ২৮৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে সাত একর জায়গায় একটি ২০ তলা একাডেমিক ভবন এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে একহাজার সিটের আবাসিক ছাত্র হলের জন্য ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন’ শিরোনামের একটি প্রকল্প ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় উপস্থাপন করা হয়। প্রকল্প প্রস্তাবনা দেখার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই সময় বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য খুচরা একটি হল ও একাডেমিক ভবন দিয়ে কাজ হবে না। বিশ্ববিদ্যালয়কে আন্তর্জাতিক মানের করে গড়ে তুলতে হবে; যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, ক্যাম্পাস, একাডেমিক ভবন, লাইব্রেরিসহ সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থাকতে হবে।

 

আরও পড়ুন >> গিভ পিস আ চান্স (জন লেনন)

আরও পড়ুন >> বাংলাদেশের প্রথম ফিলাটেলিক পরিচয়

 

বাঙালীয়ানা/এমএ/জেএইচ

মন্তব্য করুন (Comments)

comments

Share.