পূর্বাভাসের প্রায় ৫-৬ ঘণ্টা আগেই স্থলভাগে আছড়ে পড়ল ফণী। শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০১৯, সকালে ২০০ কিমি বেগে ওড়িশায় আছড়ে পড়ল ফণী।
তিনদিন উপগ্রহ চিত্রে গতিবিধির ওপর নজর রাখার পরে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছিল, শুক্রবার বেলা তিনটের সময় বঙ্গোপসাগর থেকে স্থলভূমিতে ঢুকবে সাইক্লোন ফণী। কিন্তু তার আগেই বাংলাদেশ সময় সকাল ৯:২০ নাগাদ ওড়িশায় আঘাত করেছে ফণী।
বিদ্যুৎহীন ওড়িশার পুরী, গোপালপুর-সব বিভিন্ন এলাকা। যে পথে ফণী এগোবে ওড়িশার ১০ হাজার গ্রাম এবং ৫২টা শহর পড়বে। ফণীর যাত্রাপথ থেকে ১০ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে ওড়িশা সরকার। বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য ৪ হাজার ৮৫২ সাইক্লোন এবং বন্যা আশ্রয় গড়ে তোলা হয়েছে। আপাতত, ওই ১০ লক্ষ মানুষের ঠাঁই এই আশ্রয়গুলোই। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব কন্ট্রোল রুম খুলেছেন। ফণী নিয়ে খবরাখবর বা যে কোনও সাহায্যের জন্য হেল্পলাইন নম্বর ১৯৩৮-এ ফোন করতে পারেন। শনিবার পর্যন্ত বাতিল করে দেওয়া হয়েছে মোট ১৪৭টি ট্রেন।
ফণীর ক্ষয়ক্ষতির মোকাবিলায় ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জয়েন্ট টাইফুন ওয়ার্নিং সেন্টার-এর হিসেব অনুযায়ী গত ২০ বছরে এই অঞ্চলের সব চেয়ে ভয়ঙ্কর সামুদ্রিক ঝড়ে পরিণত হয়েছে ফণী। এর আগে ১৯৯৯-এ এই মাত্রায় পৌঁছনো সুপার সাইক্লোনে প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন, ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল বিপুল।
খবর: আনন্দবাজার
বাঙালীয়ানা/এসসি