শনিবার, ১০ নভেম্বর নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে ২৪তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে। বলিউডের বিগ বি অমিতাভ বচ্চন এবং কিং খান খ্যাত শাহরুখ খানের উপস্থিতিতে হয় এবারের উৎসবের প্রদীপজ্জ্বলন।
বাংলার চলচ্চিত্রের ইতিহাস সুদীর্ঘ এবং তার একঝলক দেখা গেলো শনিবারের নেতাজী ইনডোরের উপচে পড়া ভীড়ে। যার ফলে মুখ্যমন্ত্রী বলেই ফেললেন যে, সামনের বছর চলচ্চিত্র উৎসবের ২৫ বছর উদযাপন উপলক্ষে সল্টলেক স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করার।
আট দিনের এই উৎসবের এবারের ট্যাগ লাইন ‘কার্নিভ্যাল অব ওয়ার্ল্ড’। এই উৎসবের জন্য এক হাজার ৫০০টি ছবির আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্য থেকে ৭০টি দেশের ১৭১টি পূর্ণদৈর্ঘ্য ছবি আর ১৫০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি উৎসবের জন্য বাছাই করা হয়। এসব ছবি দেখানো হবে কলকাতার ১৬টি প্রেক্ষাগৃহে।
এবার এই চলচ্চিত্র উৎসবের ‘ফোকাস কান্ট্রি’ অস্ট্রেলিয়া। বিশেষ ফোকাস কান্ট্রি তিউনিসিয়া। এ বছর অস্ট্রেলিয়া সিনেমারও শতবর্ষ। থাকছে অস্ট্রেলিয়ার একগুচ্ছ ছবি। আর বিশেষ ফোকাস বিভাগে থাকছে তিউনিসিয়ার ছয়টি ছবি।
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান চলচ্চিত্র তারকা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বাংলা ছবিকে বিশ্ব আঙিনায় পৌঁছে দেওয়া এ বছর উৎসবের মূল লক্ষ্য করা হয়েছে। এবারের চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অমিতাভ বচ্চন, জয়া বচ্চন, শাহরুখ খান, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, ওয়াহিদা রহমান, ইরানিয়ান পরিচালক মাজিদ মাজিদি, গৌতম ঘোষ, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, মহেশ ভাট, শ্রাবন্তী, শ্রীকান্ত মেহেতা প্রমুখ। প্রতিবারের মতো এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলেন বলিউডের শাহেনশাহ।
অমিতাভ বচ্চন বলেন, চলচ্চিত্রের নেপথ্যের নায়কদের সবসময় স্মরণ করতে হবে। ভালো সিনেমা শুধু তৈরি করলেই হবে না, সংরক্ষণের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলার পুরোনো ছবিগুলোকে সংরক্ষণের যে নতুন উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার বিশেষ প্রশংসা করেন বিগ বি৷ বাংলার এই চলচ্চিত্র উৎসবকে বিশ্বের আঙিনায় এরকম সমারোহে নিয়ে আসবার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ প্রশংসা করেন শাহরুখ খান।
উত্তম কুমার ও তনুজা অভিনীত ‘অ্যান্টনি-ফিরিঙ্গি’ ছিলো এবারের উৎসবের উদ্বোধনী ছবি৷
আট থেকে আশির উপচে পড়া ভীড় আছড়ে পড়েছে নন্দন, রবীন্দ্রসদন, শিশির মঞ্চ, নভীনা, নিউ এম্পায়ার, মিত্রা, আইনক্স, পিভিয়ার এর মতো হলগুলোতে।
বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেম যে বিশ্ব সিনেমার ঘোড় দৌড়ের সাথে তাল মেলাতে সক্ষম তার প্রমাণ মিলছে অফিস টাইমেও শো হাউসফুল হওয়াতে।
বাঙালীয়ানা/ডিসি/এসএস/জেএইচ