২৬ জুন ১৯৭১ শনিবার
কি ঘটেছিল
ভারতে আশ্রয়প্রার্থী বাংলাদেশের শরণার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৩ লাখ ২৫ হাজার ৯ শত ৯৮ জন।
চিলির প্রেসিডেন্ট ড. সালভেদর আলেন্দে জাতিসংঘের মহাসচিব উ’থান্টের কাছে প্রেরিত পত্রে ভারতে আশ্রয়গ্রহণকারী বাংলাদেশের নাগরিকদের দুঃখ-দুর্দশার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করে অবিলম্বে শরণার্থীদের সম্মানজনকভাবে স্বদেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান।
ময়মনসিংহে হাবিলদার রেফাজউদ্দিন এক প্লাটুন যোদ্ধা নিয়ে মুক্তাগাছা থানা আক্রমণ করেন। থানায় প্রহরারত পুলিশের সাথে তুমুল সংঘর্ষের পর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তাগাছা থানা দখলে সমর্থ হয় এবং এতে অনেক অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়। এ সংঘর্ষে ৪ জন পুলিশ নিহত ও কয়েকজন আহত হয়।
আশরাফুজ্জামানের নেতৃত্বে ৬ জন ছাত্র এবং তাদের সহায়তায় থাকা হাবিলদার কাইউমের ১৭ জন সৈনিকের দল কাংলিঘাটের দেড় মাইল পশ্চিমে অবস্থিত বড়ইগ্রাম-জুরি সড়কের কাংলিঘাট সেতু বিস্ফোরক দিয়ে ধ্বংস করে দেয়।
কুমিল্লার সুবেদার ওয়ালীউল্লার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কাফলাতলী রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে। এতে কয়েকজন রাজাকার নিহত হয় ও ক্যাম্পটি মুক্তিযোদ্ধারা দখল করে নেয়।
মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ডেমোলিশন পার্টি রাজশাহীর কাটাখালি সেতু ধ্বংস করে দেয়।
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি এলাকাতে পাক অবস্থানের উপর মুক্তিযোদ্ধারা ৩” মর্টারের গোলাবর্ষণ করলে কয়েকজন হতাহত হয়।
সিলেট-তামাবিল সড়কে শ্রীপুর এলাকা শত্রুমুক্ত করার লক্ষ্যে সুবেদার বি আর চৌধূরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। আক্রমণের পরপরই পাকিস্তানী সেনাবাহিনী পিছু হটে। এতে জাফলং থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত এলাকা মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
জামায়াত নেতা গোলাম আজম বিশ্বব্যাংকের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করে বলেন, “বিশ্বব্যাংক পাকিস্তানের মর্যাদার ওপর আঘাত হেনেছে।”
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ জেনারেল আব্দুল হামিদ খান নাটোর সফর করেন। নাটোরের স্থানীয় শান্তি কমিটির নেতারা জেনারেল হামিদকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, “তারা বেঁচে থাকতে দুষ্কৃতকারীরা (মুক্তিযোদ্ধা) নাটোরে স্থান পাবে না।”
বাঙালীয়ানা/এসএল
অগ্নিঝরা একাত্তরের দিনগুলো, পড়ুন –
জুন ১৯৭১
মে ১৯৭১
এপ্রিল ১৯৭১
মার্চ ১৯৭১