পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারের গত ৫৫ বছরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন নারী বিজ্ঞানী পেলেন এই সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মাননা।
কানাডার ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড নোবেল পুরস্কার বিজয়ীদের ইতিহাসে তৃতীয় নারী হলেও ১৯৬৩ সালের পর থেকে কোন নারীর তা অর্জন করার ঘটনা এবারই প্রথম। ১৯০৩ সালে মাদাম কুরী ও ১৯৬৩ সালে মারিয়া জিওপারট মায়ার পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ী হন। একবিংশ শতাব্দীতে এসে ডোনা স্ট্রিকল্যান্ড প্রথম নারী হিসেবে পদার্থবিজ্ঞানে এই সম্মাননা পেলেন।
ডা. স্ট্রিকল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের আর্থার আশকিন্স ও ফ্রান্সের জেরার্ড মরিয়ো এর সাথে যুগ্মভাবে নোবেল বিজয়ী হন। লেজার পদার্থবিদ্যায় তাদের আবিষ্কারের স্বীকৃতিস্বরুপ তারা এই পুরস্কার বিজয়ী হন।
ডা. আশকিন্স অপটিক্যাল টুইজার হিসেবে বর্ণিত একটি লেজার কৌশল বিকশিত করেন, যা জৈবিক গবেষণায় ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
ডা: মরিয়ো এবং স্ট্রিকল্যান্ড লেজার পালস এর দ্রততম কিন্তু ক্ষুদ্র সত্তা আবিষ্কারের পথ প্রদর্শন করেন। তারা এমন একটি পদ্ধতি প্রণয়ন করেন চিরপেড পালস এমপ্লিফিকেশ(সিপিএ) নামে পরিচিত। ইহা ক্যান্সার চিকিৎসা এবং চোখে লেজার সার্জারির ক্ষেত্রে লেজার থেরাপীর জন্য ব্যবহৃত হবে।
সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডা. স্ট্রিকল্যান্ড বলেন, ‘এতবছরে কোন নারীর পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল না জেতাটা বিস্ময়কর।’
তিনি জোর দিয়ে আরও বলেন যে, ‘আমাকে সবসময় সমঅধিকার দেয়া হয়েছে,নারী হিসেবে কোন বাধার সম্মুখীন হইনি। আমার সাথে যারা পুরস্কারটি পেয়েছেন তারাও তাদের যোগ্যতা বলেই এই সম্মান অর্জন করেন।’
বাঙালীয়ানা/এইচকে/জেএইচ