বড়পুকুরিয়া কেন্দ্রে উৎপাদন বন্ধ থাকায় রংপুর বিভাগের আট জেলা বিদ্যুৎ সঙ্কটে পড়েছে। তবে বিকল্প পথ খুঁজছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জানিয়েছেন সোমবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জানান, উত্তরাঞ্চলে বৃহত্তর রংপুর ও রংপুর সদর অঞ্চলে বিদ্যুতের অবস্থা ‘স্বাভাবিক’ হতে আরো মাসখানেক সময় লাগবে। ‘সাময়িক’ ভোগান্তির জন্য ক্ষমা চেয়ে মন্ত্রী বলেন, “বিদ্যুৎ বিভাগ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে, একটা মাস ধৈর্য ধরার জন্য আমি সকলের কাছে অনুরোধ করছি। আমরা দুঃখিত এ বিষয়ের জন্য।”
শিফট পরিবর্তন করে অগাস্টের শেষে নতুন করে কয়লা উত্তোলন শুরু হলে তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র পুনরায় চালু হবে বলে জানান তিনি। এর বাইরে রংপুর ও সৈয়দপুরে ২০ মেগাওয়াট করে ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তেলভিত্তিক দুটি ছোট বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। এর পাশাপাশি সিরাজগঞ্জের কেন্দ্রগুলো থেকে রংপুরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়িয়ে সেখানকার পরিস্থিতি ‘কিছুটা’ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বিদ্যুৎ ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, “কয়লা ছাড়াও কিভাবে সিস্টেমটাকে ঠিক রাখতে পারি, সে চেষ্টাই করছি আমরা।” তিনি জানান, সিরাজগঞ্জে ৪৩০ মেগাওয়াট ক্ষমতার দুটি কেন্দ্র চালু আছে এবং ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার আরেকটি নতুন কেন্দ্র পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়েছে। এই কেন্দ্রটি ২৭ জুলাই থেকে চালু হবে। রংপুর অঞ্চলে বিদ্যুতের ঘাটতি ১০০ মেগাওয়াটের মধ্যে রাখার চেষ্টা করা হবে জানান খালেদ মাহমুদ। এছাড়া সিরাজগঞ্জ থেকে ১৫০ কিলোমিটার বিদ্যুৎ প্রবাহিত হয়ে যাওয়ায় ভোল্টেজ কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে বলে বলে জানিয়েছেন তিনি।